
নিজেদের উদ্ভাবিত জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর পরিবর্তে অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা ও মতামতের কাজ আগে শেষ করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছে রিপোর্ট দিতে সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে এক লিখিত আবেদনে এ অনুরোধ জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লোট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর এবং গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল।
আবেদনপত্রে গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ লিখেছে, “অ্যান্টিজেন কিটের অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা পরীক্ষায় নমুনা হিসেবে লালা সংগ্রহের কোনো ইনভ্যাসিভ প্রসিডিউর প্রয়োজন হয় না। লালা ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়ায় আমাদের আবেদনে আপনারা নমুনা হিসেবে লালা পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছেন। সম্প্রতি জিআর কোভিড ১৯ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের নমুনা যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহে অসামঞ্জস্যতা পাওয়ায় সঠিক ফলাফল নির্ণয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন শনাক্তকরণের জন্য যথাযথ উপকরণ লালার নমুনায় থাকছে না বা অন্য বস্তুর মিশ্রণ লক্ষণীয়। সম্মিলিত মনিটরিং টিম এই সমস্যাটি চিহ্নিত করেছে। গণস্বাস্থ্য আরএনএ বায়োটেক টিম এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তাদের আরএন্ডডি ল্যাবে সুনির্দিষ্টভাবে সর্বোপরি ব্যবহার যোগ্য লালা সংগ্রহ পদ্ধতি প্রয়োগের কাজ শুরু করেছে।”
অ্যান্টিজেন পরীক্ষার নমুনা হিসেবে সংগৃহীত লালার মাধ্যমে যথাযথ ফলাফল না আসায় গণস্বাস্থ্যের এই আবেদন।
More Stories
দেশব্যাপী বোমা হামলার ১৫ বছর আজ
টেকনাফে সিনহা হত্যায় ১৬ আগস্ট গণশুনানি
করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি প্রত্যাহার চায়: ড্যাব