
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া কার্যত এখনো যুদ্ধের ময়দানই রয়েছে। কেননা ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ হলেও দুই দেশের মধ্যে কোনো শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। এমন এক পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন। শনিবার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি এবং সীমান্তের ওপার থেকে পিয়ংইয়ংবিরোধী প্রচারণা বন্ধে ব্যর্থতার জন্য সিউলের সমালোচনা করে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের অন্যতম শীর্ষ সহায়ক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তার বোন কিম ইয়ো-জং। তিনি শনিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এই সতর্কবার্তা দেন। দক্ষিণের সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত উত্তর কোরীয় সামরিক নেতাদের হাতেই ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন কিম ইয়ো। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ নেতা, দল ও রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা দ্বারা আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শত্রুদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির ভাইস ডিপার্টমেন্ট ডিরেক্টর কিম ইয়ো। কিমের সঙ্গে বর্তমানে প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে।
প্রায় সময় সীমান্ত দিয়ে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে পিয়ংইয়ং বিরোধী লিফলেট ভর্তি বেলুন উড়িয়ে দেয় দেশত্যাগী কোরিয়ানরা। এই দেশবিরোধী কাজ বন্ধে সিউলকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলো পিয়ংইয়ং। কিন্তু তারা ব্যর্থ হওয়ায় গত সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে উত্তর কোরিয়া।
এরই ধারাবাকিতায় কিম ইয়ো বলেছেন, দক্ষিণের বিরুদ্ধে পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত উত্তর কোরীয় সামরিক নেতাদের হাতেই ছেড়ে দেবেন।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন, দল ও রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা দ্বারা আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শত্রুদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।
কিম ইয়ো আরও বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ আমাদের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের কাছ থেকে আসবে। আমাদের সেনাবাহিনীও জনগণকে শান্ত করতে কিছু একটা করতে উদগ্রীব বলে আমি মনে করি। উত্তর কোরিয়া কিম জং উনের পর সবচেয়ে প্রভাবশালী হিসেবে মনে করা হয় কিম ইয়োকে।
এদিকে, শনিবার সারাদিন ধরেই অবশ্য কিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রকাশ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সংবরণ ও উত্তর–দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের মধ্যে আমেরিকাকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানোকে ‘নির্বোধ কথাবার্তা’ বলে সকালেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়।
সূত্র: রয়টার্স।
More Stories
করোনা হাসপাতালের প্রতি আস্থা না থাকায় বেড খালি থাকছেঃ মির্জা ফখরুল
বাইডেনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্টঃ ট্রাম্প
কাশ্মীরে ২০০ যুবক নিখোঁজ, নতুন শঙ্কায় ভারত