
দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশনার প্রায় সাড়ে ৬ মাস পর দুর্নীতি, প্রতারণা ও চক্রান্তের অভিযোগে চৌদ্দটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে থাকা মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানের এমএসআর, ভারী মেশিন ও সামগ্রী কেনা কাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর চৌদ্দটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠান দুদক সচিব।
এর ১৭৮ দিন পর এ মাসের ৬ তারিখ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ক্রয় ও সংগ্রহ অধিশাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কেন্দ্রীয় ঔষাধাগারের পরিচালকে দুদকের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেন।
চলমান করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চৌদ্দটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বুধবার (২৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন এ নির্দেশ দেন। সময় সংবাদের হাতে আসা নথি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় এই প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটার ১৩১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
দুদকের তালিকাভুক্ত ওই ১৪ ঠিকাদারের মধ্যে রয়েছে
১। রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও রূপা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী ও দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেরানী আবজাল হোসেনের স্ত্রী রুবিনা খানম
২। মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন
৩। মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মুন্সী ফররুখ হোসাইন
৪। মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন অ্যান্ড মেসার্স এসকে ট্রেডার্সের মালিক মনজুর আহমেদ
৫। এমএইচ ফার্মার মালিক মোসাদ্দেক হোসেন
৬। মেসার্স অভি ড্রাগসের মালিক মো. জয়নাল আবেদীন
৭। মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির মালিক মো. আলমগীর হোসেন
৮। এসএম ট্রেডার্সের মালিক মো. মিন্টু
৯। মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. আবদুস সাত্তার সরকার ও মো. আহসান হাবিব
১০। বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোংয়ের মালিক মো. জাহের উদ্দিন সরকার
১১। ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশনের মালিক মো. আসাদুর রহমান
১২। এএসএলের এমডি ও সিইও আফতাব আহমেদ
১৩। বেয়ার এভিয়েশনের মালিক মো. মোকছেদুল ইসলাম।
সেই চিঠিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিমতের আলোকে সরকারি অর্থের যাথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণসহ ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনয়ন এবং দুর্নীতি, প্রতারণা ও চক্রান্তমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধকল্পে ১৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীগণের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের রুজুকৃত মামলার তালিকা প্রেরণ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীগণেকে কালো তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন মর্মে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
More Stories
দেশব্যাপী বোমা হামলার ১৫ বছর আজ
টেকনাফে সিনহা হত্যায় ১৬ আগস্ট গণশুনানি
করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি প্রত্যাহার চায়: ড্যাব