
চীনে আবার জেঁকে বসেছে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৫৭ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এপ্রিলের পর থেকে সেখানে একদিনে এত বেশি রোগী আর কখনোই শনাক্ত হয়নি।
শনিবার, ৫০ দিনেরও বেশি সময় পর করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজধানীতে। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের আশঙ্কায় কড়া লকডাউন দেয়া হয়েছে শহরের একটি অংশে।
এদিকে বেইজিংয়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারকে সংক্রমণের কেন্দ্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজারটির সাথে সংশ্লিষ্ট ৫১৭ জনের পরীক্ষার পর মোট ৪৫ জনের শরীরে মেলে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি। আরও ১০ হাজার কর্মীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া গত কয়েক সপ্তাহে ক্লাস্টার ভিত্তিক সংক্রমণের নজির মিললে পুরো এলাকা কিংবা শহর লকডাউনের পদক্ষেপ নিচ্ছে চীনা সরকার।
রোববার( ১৪ জুন) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৩৬ জনই বেইজিংয়ে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ২১ জন বিদেশফেরত।
প্রায় দুই মাস পর কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই বেইজিংয়ে করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যেই সেখানকার দু’টি প্রধান পাইকারি পণ্যের বাজার লকডাউন করে দেয়া হযেছে। অন্তত ১১টি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
বাজার দু’টির কাছে মোতায়েন করা হয়েছে শত শত পুলিশ সদস্য। নিকটবর্তী অন্তত নয়টি স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হযেছে সব ধরনের খেলাধুলা আয়োজন, সিনেমা হল ও জনসমাবেশ।
More Stories
করোনা হাসপাতালের প্রতি আস্থা না থাকায় বেড খালি থাকছেঃ মির্জা ফখরুল
বাইডেনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্টঃ ট্রাম্প
কাশ্মীরে ২০০ যুবক নিখোঁজ, নতুন শঙ্কায় ভারত