
লকডাউন চলাকালীন, এই দুই উপজেলা থেকে কোনো মানুষ অন্য উপজেলায় যাতায়াত করতে পারবে না। অভ্যন্তরে বন্ধ থাকবে সকল প্রকার যানবাহন। তবে খাদ্য, ডাক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী যানবাহন, চিকিৎসক, পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের বহনকারী যানবাহন চলবে।
এছাড়া, মুদি দোকান সপ্তাহে দুইদিন রোববার ও বৃহস্পতিবার এবং কাঁচা বাজার সপ্তাহে তিন দিন রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ফার্মেসি খোলা থাকবে জোন ভিত্তিক। কাঁচা বাজারের জন্য নির্ধারিত স্থান করে দেওয়া হবে এবং ফার্মেসি কোন কোন এলাকায় কয়দিন করে খোলা থাকবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে। মঙ্গলবার থেকে নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলা ফের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
নোয়াখালীতে সোমবার পর্যন্ত ১ হাজার ৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার ভোর থেকেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। লকডাউন চলবে ২৩শে জুন রাত ১২টা পর্যন্ত। তবে, লকডাউনে জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবহন চলাচল করবে। এছাড়া, নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকবে।
জেলায় সংক্রামণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গতকাল রোববার বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই দিন জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও প্রশাসক তন্ময় দাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ মামুনুর রশিদ কিরণ, জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, সিভিল সার্জন ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোমিনুর রহমান।
More Stories
আজ থেকে কুমিল্লার চার ওয়ার্ড রেডজোন হিসেবে লকডাউন
মাদ্রাসাকর্মীকে লাঞ্ছনা, ক্ষমতার অপব্যবহারে চেয়ারম্যান-মেম্বার সাময়িক বরখাস্ত
জাতীয় পার্টির মহাসচিবের মেয়ের বেপরোয়া গাড়ি চাপায় আহত চারজন