
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় স্থানীয় দালাল, দেশিয় পাচারকারী ও লিবিয়া ক্যাম্পের মালিকসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ সোমবার এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।
সোমবার (৮ জুন) ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোববার রাতে (৭ জুন) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা স্থানীয় দালাল, দেশীয় পাচারকারী ও লিবিয়া ক্যাম্পের মালিক। পরে মিন্টু রোডের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তাদের পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের পর মানবপাচার ও সন্ত্রাস দমন আইনে সারাদেশে ২২টি মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
এরআগে লিবিয়ায় পাচার হওয়া ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় গত শুক্রবার পল্টন থানায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদারীপুর এবং কিশোরগঞ্জে একাধিক মামলা হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে লিবিয়ার ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদাহতে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে একদল মানব পাচারকারী ও তাদের স্বজনরা। ওই ঘটনায় চার আফ্রিকান অভিবাসীও নিহত হন।
ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একজনের বরাতে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উন্নত জীবিকার সন্ধানে ইউরোপ যাওয়ার জন্য লিবিয়ায় দুর্গম পথ পাড়ি দিচ্ছিলেন ৩৮ বাংলাদেশি। বেনগাজি থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে মানবপাচারকারীরা তাদের ত্রিপোলি নিয়ে যাচ্ছিল। ত্রিপলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদাহতে ওই দলটি লিবিয়ার মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়। তখন পাচারকারীরা আরও টাকা দাবি করে। এ নিয়ে বচসার মধ্যে আফ্রিকার মূল পাচারকারীকে মেরে ফেলা হলে তার পরিবার এবং বাকি পাচারকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৩০ জনকে হত্যা করে, আরও ১১ জন আহত হন।
লিবিয়ায় পাচারের পর ২৬ বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা।
More Stories
দেশব্যাপী বোমা হামলার ১৫ বছর আজ
টেকনাফে সিনহা হত্যায় ১৬ আগস্ট গণশুনানি
করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি প্রত্যাহার চায়: ড্যাব