
শয্যা খালি থাকার পরও নানা অজুহাতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ভর্তি না করিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলো। এর ফলে হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও চিকিৎসা পাচ্ছেন না অনেকেই। নগরীর প্রায় ৯০টি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যাও রয়েছে অতি নগন্য।সময়মতন চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তায় বাড়ছে প্রাণহানির ঘটনা। প্রতিদিনই ঘটছে এমন অসংখ্য ঘটনা। চিকিৎসক নেতাদের মতে মূলত প্রশাসনের গাফিলতিতেই বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকেরা এ ধরনের স্বেচ্ছাচারী ও বেপরোয়া আচরণ।
পুরনো শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় দশ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ফাতেমা পাঁচ দিন ধরে কষ্ট পেলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে গেলো মঙ্গলবার মারা যান তিনি। ফাতেমার মতো এ ধরনের ভোগান্তির অনেক অভিযোগ এখন বন্দর নগরীতে।
করোনায় আক্রান্ত হোক বা না হোক কোনো রোগীকেই হাসপাতাল থেকে ফেরানো যাবে না প্রশাসনের এমন নির্দেশনার পরও চট্টগ্রামে তা মানা হচ্ছে না। চিকিৎসক নেতারা বলছেন, প্রশাসনের কঠোর ভূমিকার অভাবেই বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। এদিকে সরকারি হাসপাতালেও রয়েছে ভোগান্তির অভিযোগ।
প্রশাসন বলছে, রোগীদের ভোগান্তির অভিযোগ মাঠ পর্যায়ে যাচাই করতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে অভিযান। অভিযোগের প্রমাণ পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
More Stories
দেশব্যাপী বোমা হামলার ১৫ বছর আজ
টেকনাফে সিনহা হত্যায় ১৬ আগস্ট গণশুনানি
করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি প্রত্যাহার চায়: ড্যাব