
নিউজিল্যান্ডে বর্তমানে কোনো করোনা রোগী নেই বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত ১৭ দিন ধরে নতুন কোন রোগী নেই, ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখের পর এই প্রথম দেশটি ‘করোনাশূন্য’ (জিরো অ্যাকটিভ কেইস) হল।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড বলেছেন, সর্বশেষ যে ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তিনি এখন উপসর্গমুক্ত। এছাড়া আমরা করোনার বিরুদ্ধে চলমান সতর্কতা অব্যাহত রাখবো। সোমবার এক বিবৃতিতে এমন তথ্য দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশ যেখানে করোনার সংক্রমণ রোধে হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে করোনা রোধে সাফল্য দেখিয়ে দেশটি। সাত সপ্তাহের টানা লকডাউন চলে দেশটিতে। বেশিরভাগ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাখা হয় বন্ধ। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত রাখা হয় জনগণকে।
এদিকে আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডে মোট ১ হাজার ৫০৪ জন করোনা রোগী পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২২ জন মারা গেলেও বাকি ১ হাজার ৪৮২ জন সুস্থ হয়েছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এছাড়া বিশ্বে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৪ লাখ ৬ হাজার ১৯২ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৭০ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৪ জন মানুষ। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৬২৮ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৩ হাজার ৭৫৩ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের সব দেশেই অনেকটা কমেছে নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যু। স্বস্তির কথা সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ লাখ ৫৪ হাজার মানুষ।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টেছে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। করোনা প্রতিরোধে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তা ধাপে ধাপে তুলে নিতে শুরু করেছে দেশটি। লকডাউন কাটিয়ে উঠে কাজে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
More Stories
করোনা হাসপাতালের প্রতি আস্থা না থাকায় বেড খালি থাকছেঃ মির্জা ফখরুল
বাইডেনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্টঃ ট্রাম্প
কাশ্মীরে ২০০ যুবক নিখোঁজ, নতুন শঙ্কায় ভারত