
করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ নিয়ে বিভিন্ন দেশ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে এই রোগের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেছে। এর মধ্যে চীনা ভ্যাকসিন প্রথম ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। এবার বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমতি দিলেই বাংলাদেশেই শুরু হবে পরবর্তী ট্রায়াল। প্রায় একই সময়ে চীনও তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করবে।
দেশে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন এবং এ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গঠিত ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি‘র সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আজ শুক্রবার বলেছেন, ‘ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল শুরু করবে দেশের স্বনামধন্য একটি মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতাল জাতীয় প্রতিষ্ঠান, যাদের ট্রায়াল চালানোর মতো সক্ষমতা আছে। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবক (যাদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে) খোঁজা শুরু করেছে। এ ছাড়া এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ট্রায়াল করার জন্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার, তাও সম্পন্ন করার কাজ চলেছে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, যে প্রতিষ্ঠানটি ট্রায়াল কার্যক্রম শুরু করবে, তাদের এরই মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করার কথা। অধিদপ্তরটি অনুমতি দিলে তারপর ট্রায়াল শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। ট্রায়ালের জন্য বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি চালাচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠান। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, কবে থেকে ট্রায়াল শুরু হয়। চীনের অনেক সেন্টারেই ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে চীন সফল হয়েছে। এ ছাড়া চীন করোনাকালের শুরু থেকেই ভ্যাকসিনটি নিয়ে কাজ করছে।’
কতজন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কতজনের ওপর ট্রায়াল চালানো হবে, তা এখনো আমি জানি না। তবে যত জনের ওপর ট্রায়াল চালানো হবে, তার দ্বিগুণ পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল চলছে। ঔষধ প্রশাসনের অনুমতি পেলে আমরাও দ্রুত ট্রায়াল শুরু করব।’
জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির এই সদস্য আরো বলেন, ‘দেশে যারা এখনো করোনায় আক্রান্ত হননি, এমন কিছু স্বেচ্ছাসেবীর শরীরেই মূলত ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে। ট্রায়ালের মূল উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশের মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করছে কি না, তা দেখা। ভ্যাকসিনটি মানুষের শরীরে যদি অন্তত ৮০ থেকে ৯০ ভাগ অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম হয়, তাহলে ভেবে নিতে হবে, এটি কার্যকর। এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনটি ভালোই হবে বলে মনে হচ্ছে।’
More Stories
দেশব্যাপী বোমা হামলার ১৫ বছর আজ
টেকনাফে সিনহা হত্যায় ১৬ আগস্ট গণশুনানি
করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি প্রত্যাহার চায়: ড্যাব