
দেশে করোনা রোগী সংখ্যা বাড়তে থাকলেও বেশির ভাগ হাসপাতালের শয্যা খালি পড়ে আছে। অনেক রোগীই হাসপাতালে যাচ্ছেন না।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত শয্যার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি (৬৭.৪৮ শতাংশ) খালি পড়ে আছে।
গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হয়, সারাদেশে করোনা জন্য হাসপাতালে ১৪ হাজার ৬১০টি বেড এবং আইসিইউ ৩৭৯টি।
এর মধ্যে সাধারণ শয্যায় করোনা রোগী ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৬৯১ জন। ফাঁকা রয়েছে ৯ হাজার ৯১৯টি।
এদিকে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৮৩ জন এবং আইসিইউ বেড খালি রয়েছে ১৯৬টি।’
সব হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে মোট ১০ হাজার ২৪০টি, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা ৮০টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৫৫টি।’
এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জন।
সারাদেশে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৬৬১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজার ১৩৩ জন।
বেড ডিস্ট্রিবিউশনঃ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল বিভাগের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ডেডিকেটেড আইসিইউ সারা দেশে প্রায় ৩৭৯টি। পাশাপাশি আরও বাড়ানোর কাজ করছি।
ঢাকা মহানগরীসহ এ বিভাগের ২০টি নির্ধারিত কোভিড হাসপাতালে ১৫টি আইসিইউ শয্যা। চট্টগ্রামের আটটি কোভিড হাসপাতালে আইসিইউ আছে মাত্র চারটিতে। ময়মনসিংহ বিভাগে একটিতেও নেই। রাজশাহীতে মাত্র ২৩টি আইসিইইউ বেড, রংপুরে ২০টি, খুলনায় ১৮টি, বরিশালে ১০টি ও সিলেটে ১০টি আইসিইউ বেড।
এতো বিশাল ঘাটতির পরও আশ্চর্যজনকভাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দাবি পর্যাপ্ত আইসিইউ থাকার। এমন অবস্থায় উদ্বেগ জানিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত রোগীর অনুপাতে দেশে তীব্র সংকট রয়েছে আইসিইউ শয্যার। শুধু কোভিড রোগী নয়, স্বাভাবিক রোগীদের জন্যও অপর্যাপ্ত আইসিইউ। তাই সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান তাদের। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার নিশ্চিতের তাগিদও দিয়েছেন তারা।
More Stories
দেশব্যাপী বোমা হামলার ১৫ বছর আজ
টেকনাফে সিনহা হত্যায় ১৬ আগস্ট গণশুনানি
করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি প্রত্যাহার চায়: ড্যাব